ধুতি পাঞ্জাবি পড়া বিশ্ব জ্ঞানী বাঙালি ভদ্রলোক বাকি বাঙালি কে আনফিলটর্ড চারমিনার এর ধোঁয়ায় উদ্ভাসিত করে শিখিয়ে গেছেন যে বাঙালির বাংলায় কিস্যু হবে না। তাই মুমূর্ষু বাঙালি দলে দলে পারি দিয়েছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। সেখানে তার প্রথম বিসর্জন তার মাতৃ ভাষা , দ্বিতীয় বিসর্জন তার ছেলে মেয়ের গোবলয়ও মানসিকতা, আর তৃতীয় এখনো প্রতীক্ষিত --NRC আর বাংলাদেশি তকমা।
অনুকরণপ্রিয় বাঙালি এখনো সেই মন্ত্রে উচ্ছাসিত -- ' বাংলায় কোনও ভবিষ্যত নেই '।
আর অন্য দিকে সেই সব-জান্তা ভদ্রলোকগণ মরিচঝাঁপির আশ্চর্য আদর্শ রূপায়ণ, উদ্ভাবন ও সহজাত বাঙালি মেধার কাছে আঁতকে উঠে শিক্ষিত বাঙালি কে বিতাড়িত করতে থাকে আর তার পরিবর্তে ৩৪ বছর ধরে হিন্দিভাষী, উর্দুভাষী আমদানি করে নব বিপ্লবের প্রস্তুতি নেয়।
বিপ্লব তো হলো বটে-- ভারত বর্ষ জুড়ে বাঙালির বৈপ্লবিক নামকরণ হলো 'কাঙালি '
আর মাড়োয়ারি বিহারি, উত্তর প্রদেশী, উর্দু ভাষী গণ হয়ে উঠলেন 'king maker , bourgeoisie ও foot soldiers।
এই নব বৈপ্লবিক ভূস্বর্গে এদের জন্যে পৃথক আইন, সুযোগ সুবিধে নীতি আদর্শ এবং ভাষা
আর পরে থাকা খর কুটো 'কাঙালীর' জন্যে কঠোর আইন ও হাতে গোনা জীবিকার পথ ও ভাষা বঞ্চনা।
দীর্ঘ সময় যাবৎ ইংরেজদের দাসবৃত্তি করা এই ইতর মেরুদন্ডহীন মানুষ গুলো যারা কখনো স্তালিনের জুতো আঁকড়ে ধরেছে, কখনো মাও সে তুঙের, বা কখনো পল পটের মতন রাক্ষসের পিছনে দাঁড়িয়েছে, তো আবার কখনো নিজেকে ভিয়েতনাম পরিচয় দিয়ে কলকাতায় নিজের দেশের সম্পত্তি আগুন ধরিয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় বৈপ্লবিক নৃত্য করেছে।
আর আপামর বাঙালি এদের কেই রাহুর দশায় পরে আদর্শ মনে করে বসেছে যার পুরস্কার স্বরূপ উপাধি পেয়েছে--আত্ত্বঘাতী বাঙালি ।
বিপ্লব দীর্ঘজীবী হউক !
No comments:
Post a Comment